প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস

image-not-found

শ্রীকাইল কৃষ্ণ কুমার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় কুমিল্লা জেলার ( পূর্বতন ত্রিপুরা ) মুরাদনগর উপজেলার একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। স্থানীয় শিক্ষানুরাগী ক্যাপ্টেন নরেন্দ্রনাথ দত্ত ১৯৩৬ সালে নিম্ন মাধ্যমিক প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন। পরবর্তীতে ১৯৪০ সালে মাধ্যমিক স্তরে উন্নীত হয়। প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে প্রথম অনুমোদন পায়। প্রতিষ্ঠানে বহুমুখী শিক্ষা কার্যক্রম চালু আছে। উপজেলা সদর থেকে বিদ্যালটি ২০ কিঃমিঃ দূরে অবস্থিত প্রত্যন্ত অঞ্চলে শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিস্তারে প্রতিষ্ঠানটি ধারাবাহিক অগ্রনী ভূমিকা পালন করে চলছে। সাধারন ও কারিগরি শিক্ষা কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যেতে বর্তমানে বিদ্যালয়ে মোট ২৮ জন ( এমপিও ও খন্ডকালীন ) শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন। এতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১৬০০ জন। বিজ্ঞান মনস্ক জাতি গঠনে বিদ্যালয়ে সমৃদ্ধ বিজ্ঞানাগার, শেখ রাসেল ডিজিটাল আইসিটি ল্যাব ও স্মার্ট বোর্ড পরিচালনায় দক্ষ শিক্ষক মন্ডলী কর্মরত আছেন। প্রতিষ্ঠানটি বোর্ড ও উপজেলায় একাধিক বার প্রথম স্থান অর্জন করেছে। এই বিদ্যালয় থেকে উর্ত্তীন বহু কৃতি ছাত্র/ছাত্রী দেশমাতৃকার সেবায় গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। রোয়াচালা প্রামের অজিত কুমার রাউ্য কুমিল্লা বোর্ড থেকে ১৯৬৩ ইং সনে ১৬ তম (সম্মিলিত মেধাতালিকা) স্থান লাভ করে উক্ত বিদ্যালয়টির

প্রধান শিক্ষকের বাণী

image-not-found

শ্রীকাইল কৃষ্ণ কুমার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় স্বর্গীয় র্ক্যাপ্টেন নরেন্দ্রনাথ দত্তের অমর কীর্তি । অত্র বিদ্যালয়টি ১৯৪০ সালে স্থাপিত । মুরাদনগর উপজেলার একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান । প্রত্যন্ত অঞ্চলে শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিস্তারে প্রতিষ্ঠানটি অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে । শিক্ষা মানে ব্যক্তির আচরণের কাংঙ্খিত পরিবর্তন । শিক্ষার মূল লক্ষ্য শিক্ষার্থীর সার্বিক বিকাশ সাধন । শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীর ঐক্যবদ্ধ কাজের মূল লক্ষ্য হল শিখন । শিখনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীর মানবিক উৎকর্ম ও অন্তর্নিহিত গুনাবলি বিকশিত হয় । বিদ্যালয়ে এসে শিক্ষার্থী কেবল পাঠ্যপুস্তকের নির্দিষ্ট পাঠই গ্রহণ করে না । নির্দিষ্ট জ্ঞান , দক্ষতা ও ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি অর্জন করে । আমাদের বিদ্যালয়ের সার্বিক কার্যক্রম এ লক্ষ্যকে সামনে রেখেই পরিচালিত হচ্ছে । শিক্ষার্থীর সুশিক্ষা লাভের জন্য শিক্ষার্থী - শিক্ষক - অভিভাবক এই তিনের সমন্বয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । শ্রেণির পঠন পাঠনের তদারকি নিয়মিত স্কুলে উপস্থিতি , স্কুলের নিয়ম - কানুন মেনে চলা ইত্যাদি ক্ষেত্রে অভিভাবক কার্যকর ভূমিকা পালন করে থাকেন । শিক্ষার্থীরা কেবল স্কুলেই শিক্ষা লাভ করে না । পারিবারিক পরিবেশ , সামাজিক পরিবেশেও সে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা অর্জন করে । বলা যায়- শিক্ষক , শিক্ষার্থী ও অভিভাবক তিন জনের যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমেই শিক্ষার্থীর সার্বিক উন্নতি সম্ভব । আমরা বুদ্ধি সম্পন্ন , যুক্তিবাদী , মানবতাবোধ ও দেশপ্রেম সম্পন্ন আলোকিত মানুষ চাই । শিক্ষার্থীরা দেশ ও জাতির কর্ণদ্বার । সু - শিক্ষা লাভের মধ্যে দিয়ে ভবিষ্যৎ যোগ্য নাগরিক হিসাবে তারা নিজেদেরকে গড়ে তুলবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা ।
মোঃ কামাল উদ্দিন সরকার
( বি এসসি.বিএড ১ ম শ্রেণি )
প্রধান শিক্ষক
শ্রীকাইল কৃষ্ণ কুমার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়
শ্রীকাইল , মুরাদনগর , কুমিল্লা ।

সভাপতির বাণী

image-not-found

শ্রীকাইল কৃষ্ণ কুমার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় স্বর্গীয় ক্যাপ্টেন নরেন্দ্রনাথ দত্তের অমর কীর্তি । তাঁহার পিতার নামে প্রতিষ্ঠিত প্রত্যন্ত অঞ্চলে এক আলোকবর্তিকা , জ্ঞানের বাড়িঘর । এর রয়েছে যেমন সোনালী অতীত, তেমনি গৌরবোজ্বল বর্তমান । তখন থেকে বর্তমান বিদ্যালয়টি তার চতুর পার্শ্বে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে আসছে । এই বিদ্যালয়ের মাধ্যমে সৃষ্টি হয়েছে অনেক জ্ঞানী গুণী ব্যক্তিত্বের শত গুনী শিক্ষকের জ্ঞান সাধনা আর সহস্র শিক্ষার্থীর পদচারণায় মুখরিত ছিল এই বিদ্যালয়টি । আমি অত্র বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী হিসেবে গর্ববোধ করি। জ্ঞান তাপস শিক্ষকগণের স্নেহ সান্নিধ্যে এ বিদ্যায়তনের শিক্ষার্থীরা অতীতে যেমন ধন্য হয়েছে ; বর্তমানেও শিক্ষকগণ নিরলসভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন আগামী প্রজন্মকে মেধাবী , দেশপ্রেমিক ও স্মার্ট নাগরিক হিসাবে গড়ে তোলার দৃঢ় প্রত্যয়ে ।
বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি হিসেবে আমার আশা ও বিশ্বাস শিক্ষার মানোন্নয়নে পাশাপাশি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে অনেক দূর এগিয়ে যাবে যে এ প্রত্যাশা রইল । আমি প্রতিষ্ঠানটির উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করছি ।

জরুরি হটলাইন